সালামের হাকীকত

১. ভূমিকা ঃ
অভিবাদন বা সালাম করা একটি শিষ্টাচার এবং সম্মান দেখানোর সর্বোচ্চ স্তর। হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান, ইহুদী এবং বিধর্মী, নির্বিশেষে সকলেরই অভিবাদনের নিয়ম আছে। হিন্দুরা পরস্পর পরস্পরকে দেখা মাত্র বলে ‘নমষ্কার’ অথবা ‘আদব’, খৃষ্টান ও বিধর্মীরা বলে Good Morning ,Good Evening তেমনি ইসলামে রয়েছে ’সালাম’। একজন মুসলমান সাক্ষাতে আরেকজন মুসলমানকে অভিবাদন জানায় ’আস্সালামু আলাইকুম’ বলে। এর সরল অর্থ হল ‘আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক’। কোন কোন জাতির মধ্যে অভিবাদন জানাতে বাক্য বিনিময়ের প্রচলন না থাকলেও অংগভংগী দিয়ে শ্রদ্ধা ও সম্মান জানানোর রীতি রয়েছে। যেমন মাথা ঝুকানো, করজোড় করা, মাটিতে মস্তক লুটানো, কপাল চুম্বন কিংবা পদযুগল স্পর্শ করা। ইংরেজী অভিবাদনে কল্যাণ কামনা বিশেষ বিশেষ সময়ে সীমাবদ্ধ। যেমন সকালের অভিবাদন সকালের জন্য, রাতেরটা রাতের কিন্তু মুসলিম অভিবাদন সকল সময়ের। ইংরেজী অভিবাদনের মত অন্যান্য ধর্মীয় অভিবাদনও বিস্তৃত অর্থ প্রকাশক নয়। ইসলামের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল এই অভিবাদনটি একই সঙ্গে সম্মান প্রকাশক, কল্যাণ কামনা এবং ইবাদত। এই তিনটি কর্ম অন্যান্য ধর্মে পৃথক পৃথক।
২.
পবিত্র কুরআনে সালাম
২.১ সালাম আলাহর হুকুম।
وَإِذَا حُيِّيْتُم بِتَحِيَّةٍ فَحَيُّواْ بِأَحْسَنَ مِنْهَا أَوْ رُدُّوهَا إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ حَسِيبً
“তোমাদের যদি কেউ অভিবাদন জানায় তাহলে তোমরাও তাদের অভিবাদন জানাও। তার চেয়ে উত্তম অথবা তার মত। নিশ্চয়ই আলাহ সকল বিষয়ে হিসাব গ্রহনকারী। (নেসা-৮৬)
২.২ ইব্রাহীম (আঃ) ও তার মেহমানদের মধ্যে সালাম বিনিময় হয়েছিল
”আপনার কাছে ইব্রাহীমের সম্মানিত মেহমানদের বৃত্তান্ত পৌচেছে কি? যখন তারা ঘরে প্রবেশ করল তখন বলল ’সালাম’ তিনিও জবাবে সালাম দিলেন। তারা ছিল অপরিচিত। (যারিয়াত ২৪-২৫)
২.৩ সালাম হল ঘরে প্রবেশের অনুমতি প্রার্থনা
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لَا تَدْخُلُوا بُيُوتًا غَيْرَ بُيُوتِكُمْ حَتَّى تَسْتَأْنِسُوا وَتُسَلِّمُوا عَلَى أَهْلِهَا ذَلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ لَعَلَّكُمْ تَذَكَّرُونَ
“হে মুমিনেরা, তোমরা নিজের গৃহ ব্যতীত অন্য গৃহে প্রবেশ করোনা যে পর্যন্ত না গৃহবাসীকে পরিচয় না জানাও এবং সালাম না কর, এটাই তোমাদের জন্য উত্তম। যদি তোমরা জেনে থাক। (নূর- ২৭)
২.৪ নিজেদের ঘরে ঢুকতেও সালাম দাও
فَإِذَا دَخَلْتُم بُيُوتًا فَسَلِّمُوا عَلَى أَنفُسِكُمْ تَحِيَّةً مِّنْ عِندِ اللَّهِ مُبَارَكَةً طَيِّبَةً
”তোমরা যখন নিজেদের ঘরে প্রবেশ করবে, স্বজনদের সালাম দিবে। এটা আলাহর প থেকে কল্যাণকর ও পবিত্র দোয়া।” (নুর- ৬১)
২.৫ সালামের সাথে কুশলাদি জানা সৌজন্যতার অংশ
وَسِيقَ الَّذِينَ اتَّقَوْا رَبَّهُمْ إِلَى الْجَنَّةِ زُمَرًا حَتَّى إِذَا جَاؤُوهَا وَفُتِحَتْ أَبْوَابُهَا وَقَالَ لَهُمْ خَزَنَتُهَا سَلَامٌ عَلَيْكُمْ طِبْتُمْ فَادْخُلُوهَا خَالِدِينَ
’জান্নাতিরা যখন জান্নাতের নিকটবর্তী হবে দরজাসমূহ খুলে দেয়া হবে। জান্নাতের রীরা সালাম দিবে আর বলবে আজ তোমরা সূখী হও এবং প্রবেশ কর যেখানে তোমরা চিরদিন থাকবে।
(যুমার ৭৩)
২.৬ ঈমানদারদের জান কŸজ করতে ফেরেশতা সালাম জানাবে
الَّذِينَ تَتَوَفَّاهُمُ الْمَلآئِكَةُ طَيِّبِينَ يَقُولُونَ سَلامٌ عَلَيْكُمُ ادْخُلُواْ الْجَنَّةَ بِمَا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ
ফেরেশতা তাদের জান কবজ করে পবিত্র অবস্থায় এবং বলে- তোমার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। (দুনিয়াতে) যা করতে তার প্রতিদান হল জান্নাত সেখানে প্রবেশ কর। (নাহল-৩২)
২.৭ জান্নাতে জান্নাতিরা পরস্পর পরস্পরকে সালাম জানাবে।
وَحُورٌ عِينٌ - كَأَمْثَالِ اللُّؤْلُؤِ الْمَكْنُونِ-جَزَاء بِمَا كَانُوا يَعْمَلُونَ- لَا يَسْمَعُونَ فِيهَا لَغْوًا وَلَا تَأْثِيمًا- إِلَّا قِيلًا سَلَامًا سَلَامًا
সেখানে থাকবে আয়তনয়না সঙ্গীগণ, আবরনে রতি মোতির ন্যায়। তারা যা কিছু দুনিয়ায় করেছে তার পুরস্কার স্বরূপ। সেখানে কোন অবান্তর ও খারাপ কথা শুনবেনা। শুনবে শুধু সালাম আর সালাম। (ওয়াকিয়া-২২-২৬)
২.৮ আলাহ পাক নিজে সন্তুষ্ট হয়ে জান্নাতীতের অভিবাদন জানাবেন
هُمْ وَأَزْوَاجُهُمْ فِي ظِلَالٍ عَلَى الْأَرَائِكِ مُتَّكِؤُونَ- لَهُمْ فِيهَا فَاكِهَةٌ وَلَهُم مَّا يَدَّعُونَ- سَلَامٌ قَوْلًا مِن رَّبٍّ رَّحِيمٍ
’এদিন জান্নাতীরা আনন্দে মশগুল থাকবে। তারা স্বস্ত্রীক উপবিষ্ট থাকবে ছায়াময় পরিবেশে, আসনে হেলান দিয়ে। সেখানে থাকবে ফলমূল এবং যা চাইবে। করুনাময় পালনকর্তার প থেকে বলা হবে- তোমাদের উপর সালাম। (ইয়াছিন ৫৫-৫৮)

৩. হাদীস শরীফে ’সালাম’

৩.১ সালাম হবে মুখে, হাত নেড়ে বা ইশারাতে নয়।
‘‘আমর ইবনে শুআইব (রা) হতে বর্ণিত : রাসুল (সা) বলেন যে ব্যক্তি বিজাতীয় অনুসরণ করে, সে আমাদের দলভূক্ত নয়। তোমরা ইহুদী নাসারাদের অনুসরন করোনা। ইহুদীরা আংগুলের ইশারায় আর নাসারারা হাতের ইশারায় সালাম দেয়।” (তিরমিজী)
৩.২ কে কাকে সালাম দিবে
‘‘আবু হুরায়রা (রা:) বর্ণিত। হুযুর (সাঃ) বলেন আরোহী ব্যক্তি পদচারী ব্যক্তিকে, পদচারী ব্যক্তি উপবিষ্ট ব্যক্তিকে, অল্প সংখ্যক লোক অধিক সংখ্যককে এবং নবীনরা প্রবীনদের সালাম দিবে।” (বুখারী-মুসলিম)
৩.৩ সালাম এক মূসলমানের উপর অপর মুসলমানের হক
‘‘আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত, রাসুল (সা:) বলেন একমুসলমানের উপর অপর মুসলমানের হক ছয়টি (১) অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাওয়া (২) মারা গেলে জানাজায় শরীক হওয়া (৩) বিপদে ডাকলে সাড়া দেওয়া (৪) সাাতে সালাম বিনিময় করা (৫) হাচি শুনলে ’ইয়ারহামুকালাহ’ বলা এবং (৬) সর্বাবস্থায় শুভকামনা করা”। (তিরমিযী)
৩.৪ পুরুষ কত্তৃক মহিলাদের সালাম দেয়া
‘‘আসমা বিনতে ইয়াজিদ (রা:) বলেন- একবার রাসুলুলাহ (সা:) মসজিদে নববীতে ঢুকছিলেন। সেখানে একদল মহিলা বসা ছিল। তিনি হাত উঠিয়ে তাদের সালাম করলেন।” (তিরমিযী)
৩.৫ সালামের সাথে মুসাফাহা (hand Shake)
ইবনে মাসউদ থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা:) বলেন- সালামের সাথে মুসাফাহা করা সালামের পূর্ণতা বিধায়ক।
‘‘আনাস ইবনে মালিক (রা:) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- একদা জনৈক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল হে আলাহর রাসুল (সা:) আমাদের কেউ তার ভাই বা বন্ধুর সাথে দেখা করলে সে কি তার সামনে ঝুকে যাবে? তিনি বলেন না। সে কি গলাগলি করে চুমু খাবে ? তিনি বলেন- না। সে কি তার হাত ধরে করমর্দন করবে? তিনি বলেন হ্যাঁ।”
৩.৬ সালাম দিতে হবে শশব্দে
‘‘সাবিত ইবনে উবাইদ (রা:) বলেন- আমি এক মজলিসে উপস্থিত হলাম। সেখানে আবদুলাহ ইবনে উমর (রা:) ও ছিলেন। এক ব্যক্তি সালাম দিলে তিনি তাকে বললেন- তুমি সালাম দিলে তা অপরের কানে কর্নগোচর করো কেননা সালাম আলাহর প থেকে বরকতময় এক পবিত্র বাক্য।” (আল আদাবুল মুফরাদ)
৩.৭ আগে সালাম দেয়া
‘‘আবু হুরায়রা (রা) বলেন- যে ব্যক্তি সালামের উত্তর দেয় না সে প্রতারক, যে সালাম দিতে কৃপনতা করে সে নিকৃষ্ট। যদি তোমার ও তোমার ভাইয়ের মাঝে যদি গাছ প্রতিবন্ধক হয় তবু তাকে তুমি আগে সালাম দিতে তৎপর হবে। সে যেন তোমার আগে তোমাকে সালাম দিতে না পারে।” ( আল আদাবুল মুফরাদ)
৩.৮ সালামের সওয়াব
‘‘আবু হুরায়রা (রা) বর্ণিত- একদিন রাসুল (সা:) ছাহাবীদের নিয়ে বসা অবস্থায় এক ব্যক্তি আগমন করল এবং বলল- ‘আস্সালামু আলাইকুম’ রাসুল (সা:) বললেন- সে দশ নেকী পেল। এরপর এক ব্যক্তি আসল এবং সে বলল ’আস্সালামু আলাইকুম ওরাহমাতুলাহ। হুযুর (সা:) বললেন লোকটি কুড়ি নেকী পেল। তৃতীয় এক ব্যক্তি এসে বলল- ’আস্সালামু আলাইকুম ওরাহমাতুলাহ অবারাকাতুহু। হুযুর (সা:) বললেন- লোকটি ত্রিশ নেকী পেল। (নাসায়ী)
৩.৯ সালাম পূর্ণ ঈমানদারীর আলামত
‘‘আম্মার (রা:) বলেন- যে ব্যক্তি তিনটিগুন হাসিল করল সে যেন ঈমানের পূর্ণতা পেল। (১) নিজের ব্যাপারে ইনসাফ করা (২) সালামের ব্যাপক প্রচলন করা ও (৩) অভাবগ্রস্থ অবস্থায়ও দান করা।” (সহীহ আল বুখারী)
৩.১০ সালাম সর্বোত্তম কাজ
‘‘আবদুলাহ ইবনে আমর (রা:) থেকে বর্ণিত- এক ব্যক্তি রাসুল (সা:) কে জিজ্ঞাসা করল দ্বীনের মধ্যে কোন কাজ সর্বোত্তম। তিনি বললেন- অভাবগ্রস্থকে খাওয়ানো এবং চেনা অচেনা সবাইকে সালাম দেয়া।” (বুখারী মুসলিম, আবুদাউদ, নাসায়ী, আহমেদ)

৪. মেরাজের রাতে আলাহ তার হাবীবকে সালাম দিয়েছেন
মেরাজ সংক্রান্ত কিতাবসমূহে পাওয়া যায় রাসুলকে (সা:) সার্বনিকভাবে রাহবার হিসাবে জিবরাঈল (আ:) সঙ্গ দিয়েছেন। সিদরাতুল মুনতাহা নামক সর্বোচ্চ সম্মানিত স্থানে পৌছে এই প্রটোকল সমাপ্ত হয়ে যায়। আলাহ পাক সেখানে তার প্রিয় হাবীবকে একা ডেকে নেন। স্রষ্টা ও সৃষ্টির মধ্যে বিনিময় হওয়া প্রথম বাক্যই ছিল রাসুল (সা:) কর্ত্তৃক আলাহ পাকের শানে হামদ ও প্রশংসা। দ্বিতীয় বাক্য ছিল আলাহর প থেকে প্রিয় নবীকে (সা:) সালাম ও কল্যাণ ঘোষণা। আমরা নামাজের বৈঠকে যে ”আত্তাহিয়্যাতু” পড়ি তার মধ্যে এই কথোপকোথন রয়েছে।
০ আত্তাহিয়্যাতু লিলাহি অসসালাওয়াতু ও তাইয়্যেবাতু
সমস্ত সম্মান, ইবাদাত, উপাসনা ও পবিত্রতা আলাহর জন্য
০ আস্সালামু আলাইকা আইয়্যুহান্নাবীয়্যু ওরাহমাতুলাহি অবারাকাতুহু
হে নবী! আপনার উপর সালাম বর্ষিত হোক, আলাহর করুনা এবং বরকতও
০ আস্সালামু আলাইনা ও আলা ইবাদিলাহিস সালেহীন
আমাদের উপর এবং সকল নেক বান্দাহগনের উপর এই শান্তি বর্ষিত হোক।
০ আশহাদু আন লা ইলাহা ইলালাহু অআশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু অরাসুলুহু
আমি স্যা দিচ্ছি আলাহ ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মদ তাঁর বান্দাহ ও রাসুল।
৫. সালামের বিকৃতি
আমাদের মধ্যে দেখা যায় বয়স, পেশা ও চরিত্র বিবেচনায় সালাম ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন বস ও অধীনস্তদের সালামের ধরন ধারন এমন যে বস আসলে সালাম দেন না, তিনি কার্যত সালাম নেন। তাও মুখে নয়, মাথাটা খানিক ঝুকিয়ে। ছাত্ররা যখন তাদের উস্তাদকে সালাম দেয় তখন বলে ‘সালাম স্যার’। যদিও উনার নাম সালাম নয়। রাজনৈতিক দলের চামচারা তাদের নেতাকে সালাম দেন কুর্নিশের আদলে আর নেতা সালাম পেয়ে গর্বে বুক উঁচু করে চামচাদের অতিক্রম করে। বাহিনীর লোকেরা সালাম দেয় স্যেলুট করে জোরে মাটিতে বুটপরা পদযুগল নিপে করে জমীন প্রকম্পিত করে। জনসভায় মন্ত্রী শান্ত্রীরা মঞ্চে উঠেন বিশাল জনতাকে সালাম দেন মুখে নয় হাত দুলিয়ে। এতে সালামের যে কল্যাণ কামনা সেটা প্রকাশিত হয় না। বেশীর ভাগ মানুষ শুদ্ধ সুন্দর ভাবে সালামের বাক্য উচ্চারণ করেন তবে অনেকে বেশী শুদ্ধ করতে গিয়ে সালাম দেন ’স্বালামালেকুম’ বলে যা অশুদ্ধ, বিকৃত এবং অর্থহীন।
৬. উপসংহার:
অভিবাদন জানানো একটি নৈতিক বিষয়। ব্যক্তির উপস্থিতির স্যা দেয়া, সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানো। জগতের সকল সংস্কৃতিতেই বৈরিতা সত্বেও সম্ভোধন ও সম্ভাষণ একটি সৌজন্যতা ও উদারতার প্রতীক হিসাবে স্বীকৃত। এর দ্বারা ভালবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধন তৈরী হয়। মন মননের উপর প্রশান্তি ছায়াপাত করে। যখন দুই ব্যক্তি পরস্পর পরস্পরকে শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য দোয়া করে তখন স্বভাবতই উভয়ের মনে এই মনোভাবের উদয় হয় যে, আলাহ পাক অন্তত: এই দোয়ার বরকতে বিপদ মুছিবত ও নিরাপত্তাহীনতা থেকে আমাকে রা করবেন। সেজন্য সালাম দিন অকাতরে, মন উজাড় করে যত বার দেখা হয় তত বার। সালামের শান্তি ও কল্যাণ ছড়িয়ে পড়–ক সমাজের সবখানে।
মু. শামসুজ্জামান
এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জোন প্রধান
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড
কুমিলা জোন।