মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে। শ্রেষ্টত্ব প্রদান করা হয়েছে সুশৃংখল জীবন যাপনের মাধ্যমে মানবতার কল্যাণ ও নিজেকে স্রষ্টার নিকট সমর্পন করার জন্য।সুন্দর ধরনীর বুকে আসার পুর্বে এমন অংগিকার ও করতে হয়েছে প্রতিটি মানুষবে তার স্রষ্টার নিকট। নিজেকে সুন্দুর করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই মানুষকে আবার মুখোমুখি হতে হয় নানা অনুকুল ও প্রতিকুল পরিবেশের।
এক কথায় বলতে হয় , জীবনকে সুন্দরের পথে পরিচালনা করার জন্য নিজেকে বাধতে হয় একটি অনুশাসনের সাথে। যে অনুশাসন সব সময় সত্য , সুন্দর ও খোদা ভীতির দিকে আহবান করে থাকে। আর সে ভীতির পথ আলোর আবাবিলে ভরে যায়, আর দুর হয় যত পংকিলতা, কেটে যায় শত সংকির্নতা।
অনুশাসন সকলকে মানতেই হবে। কেউ চাইলে তার বাহিরে যেতে পারবে না। আর অনুসরনীয় অনুশাসন বলতে একমাত্র ধর্মীয় রীতি-নীতি কে বুঝানো হয়েছে। কারণ এক্ষেত্রে কোন পপাত্বিতের অভিযোগ থাকতে পারেনা । অনুশাসন মানার অনুভুতি সৃষ্টি করতে হয় অন্তরের মাঝে, স্বচ্ছ জবাবদিহিতার অনুভুতি বিবেককে পরিচালিত করে সদা সর্বদা সত্যের পথে। বিবেকের কষাঘাতে জর্জরিত হয়ে যখন দায়িত্ববোধ ও কর্তব্য পরায়নাতার কথা ভাবা যায় , তখনই অন্যায়, অসত্য থেকে নিজেকে বিরত রাখা সম্বব হয়।
আমাদের সমাজে সাধারনত পাচার হয়ে যাওয়া নারী ও শিশুদের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, সমাজের হতভাগা দরিদ্র , মৌলিক অধিকার বঞ্চিত নারী ও শিশুরা এ ধরনের ঘৃনিত কাজের স্বীকার হয়ে থাকে । সমাজের নিয়ন্ত্রক বা সমাজে বসাবস কারি ব্যাক্তিরা যদি তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন থাকে তাহলে এ ধরনের কার্যকলাপ বন্ধ করা স¤ক্ষ।
কেননা সাধারন ব্যবসা বানিজ্য,ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে যদি কোন সমস্যা হয়, তা হলে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে তার সুরাহা করা সম্ভব। কিন্তু পারষ্পরিক অধিকার আদায় হওয়া নির্ভর করে সহানুভুতি,সহমর্মিতা ও আন্তরিকতার উপর।সুতারাং এ অধিকার আদায়ের জন্য আললাহ ভীতি ও পরকালের ভয় ছাড়া দ্বিতীয় আর কোন উপায় নেই। সে জন্য বোধ হয়, মানবতার পরম বন্ধু মোহম্মাদ (সাঃ) কোন ব্যাক্তিকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করানোর সময় নারীর সম্মানে নাজিলকৃত সুরা আন নিসার প্রথম আয়াত “হে মানবজাতি তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর” বিবাহের খোৎবায় সকলকে পড়ে শুনাতেন ।(১)
অনাথ বা অভাবগ্রস্থ মেয়েদেরকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করানো গেলে সমাজের ভারসাম্য রার পাশাপাশি এহেন গর্হিত কাজ থেকে জাতিকে মুক্ত করা সম্ভব। উম্মুল মুমিনিন মায়মুনাহ্ রাঃ তার এক বাদিকে মুক্ত করে দিলেন। অতঃপর খবরটি নবী (সাঃ) এর দরবারে পৌছালে, তখন তিনি বললেন, তুমি যদি তোমার বাদিটি তোমার মামাকে দিয়ে দিতে তাহলে অধিক পুন্য লাভ করতে । (২) । উলেলখিত হাদিস থেকে আমরা জানতে পারলাম যে, অসহায় কে তার নিরাপত্তার দায়িত্ত গ্রহন করতে পারে এমন ব্যাক্তির হাতে অর্পন করা উচিৎ।
নারী ও শিশু পাচার রোধ করার পুর্বে আমাদের সকলের জানতে হবে তাদের অধিকার সম্পর্কে।কারন পরকালে তাদের অধিকার পালন সর্ম্পকে আললার দরবারে কঠোর প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে। এ যুগের নারী পাচার আর জাহেলী যুগের কন্যা সনতানের প্রতি নির্মম অত্যাচারের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
ধর্ম সবসময় মানুষকে কল্যানের দিকে আহবান করে । তাই কাউকে কোন অকল্যাণ থেকে বাচাতে হলে তার প্রতি দায়দায়িত্ত সম্পর্কে সুধারণা পোষন ও তার বাস্তবায়ন অবশ্যই করতে হবে। এখন আমাদের জানতে হবে নারী ও শিশুর প্রতি করনীয় ও তার ধর্মীয় দিক নির্দেশনা । ধর্ম শিা দিয়েছে, মেয়েদের লালন পালন করা , তাদের উত্তম শিা দেওয়া এবং ঘর সংসারেরর কাজে পারদর্শী করে তোলা ( ৩) ।
নারীর প্রতি দায়িত্ববোধ সর্ম্পকে রাসুল (সাঃ) এর সার্বজনীন নির্দেশনার কয়েকটি দৃষ্টান্ত -
১. মহানবী সাঃ বলেছেন, এই মেয়েদের জম্মের মাধ্যমে যে ব্যাক্তিকে পরীক্ষার সম্মখীন করা হয় তারপর সে তাদের সাথে সদব্যবহার করে তারা তার জন্য জাহান্নামের আগুন থেকে রা পাওয়ার কারনে পরিণত হবে। ( ৪)
২. যে ব্যাক্তি দুটি মেয়ের লালন পালন করে , এভাবে তারা বালেগ হয়ে যায় , সে কিয়ামতের দিন ঠিক এভাবে আসবে। একথা বলে তিনি তার নিজের আঙুলগুলো এক সাথে করে দেখান। (৫)
৩. যার কন্যা সন্তান আছে , সে তাকে জিবীত কবর দেয়নি , তাকে দ্বীনহীন ও অপমানিত কওে ও রাখেনি এবং পুত্রকে বেশী গুরত্ব দেয়নি, আললাহ তাকে জান্নাতে স্থান দিবেন। (৬) ।
৪. নবী সাঃ সুরাকাহ ইবনে জাসুমকে বলেন, আমি কি তোমাকে বলবো সবচেয়ে বড় সাদাকাহ কি? তিনি বলেন, অবশ্যই হে আললার রসুল সাঃ ! তোমার সেই মেয়েটি যে তালাক পেয়ে অথবা বিধাবা হয়ে তোমার নিকট ফিরে আসে আর তুমি ছাড়া তার আর কোন উপার্জনকারী থাকেনা। (৭) ।
উলেলখিত হাদীসের বানী থেকে আমরা মেয়েদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব সর্ম্পকে যে নির্দেশনা পেয়েছি তা বাস্থবায়নের মাধ্যমে আমরা নারীদেরকে সমাজে সুপ্রতিষ্টিত করতে পারি । আর তাদের প্রতিষ্টিত করা আমাদের নৈতিক ও ধর্মীয় দায়িত্ব। পুরূষ নারীর প্রতি এ দায়িত্ব পালন করার সাথে সাথে নারীর উপর ও কিছু নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে , যা পালনের দায়িত্ব নারীর নিজেরই।
নারী সমাজে সুপ্রতিষ্টিত হওয়ার পর তার উপর যে দায় দায়িত্ব অর্পন করা হয়েছে তা হলো ঃ
(ক) তারা জাহিলিয়াতের ন্যায় নিজেদেরকে প্রকাশ করে বেড়াবে না।
(খ) অন্যের সাথে গোপন সম্পর্কে জড়াবে না।
(গ) বেশ্যাবৃত্তি করবে না।
(ঘ) অশিল প্রচার প্রচারনায় নিজেকে নিয়োজিত করবে না।
(ঙ) দাম্পত্ত জীবনকে অস্বিকার করবে না। (৮)
পুরুষ তার দায়িত্ব পালন করবে শুধুমাত্র একজন নারীকে সমাজের বুকে স্বাধীনভাবে প্রতিষ্টিত করার জন্য , আর নারী তার দায়িত্ব পালন করবে পুরূষকে দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করার জন্য। ধর্মীয় এ নির্দেশনা পালন করতে হবে সেচ্ছায়। জবাবদিহিতার স্বচ্ছ অনুভুতি থাকতে হবে নিজের মাঝে।
পাপ ও নেকীর অনুভুতি সৃষ্টি করতে পারলে এসকল ধর্মীয় নির্দেশ পালন করা মোটেও অসম্ভব নয়। রাসুল সাঃ বলেছেন, “নেকী হচ্ছে উত্তম চরিত্র আর গোনাহ হচ্ছে তাই যা তোমার মনে দ্বিধা ও সংকোচের সৃষ্টি করে এবং মানুষ তা অবহিত হোক তা তুমি পছন্দ করোনা” (৯)।
রাসুল সাঃ যে সমাজ আদর্শ পেশ করেছেন, তাহাতে মানুষের সার্বিক মর্যাদা সমধিক গুরূত্বপূর্ণ । সে মানুষ সদ্যজাত শিশু কিংবা অল্প বয়স্ক বালক অথবা বয়োবৃদ্ধ, উপার্জন অক্ষম যাহাই হোক না কেন । সে সমাজে কোন অবস্থায় মানুষ উপেক্ষিত ও অবহেলিত হইতে পারেনা । মানবতার প্রতি ইহা নির্বিশেষ ও সুগভীর মমত্ব ও শ্রদ্ধাবোধের প্রমান। ( ১০)।
সুতরাং শিশুর জম্মের পর একজন মানুষের উপর বর্তায় তার সনতান পালনের অনেকগুলো দায়দায়িত্ব।
(ক) উত্তম চরিত্রবান বানানো। যেমন, রাসুল সাঃ বলেছেন, পিতা সনতানকে স্বভাব চরিত্রের তুলনায় অধিক উত্তম ভাল কোন দান ই দিতে পারেনা।
(খ) সনতানের শিখা প্রশিকনের দায়িত্ব।
(গ) অর্থনৈতিক দায়িত্ব।
এ ক্ষেত্রে কোন ব্যাক্তি যদি তার সমুদয় অর্থ খোদার রাহে বিলিয়ে দিতে চায়, সেক্ষেত্রে রাসুল সাঃ কঠোরতার সাথে নিসেধ করেছেন। কারণ সনতানকে অর্থনৈতিক ঝুকির মাঝে ফেলে মৃত্য বরন করা যাবেনা। সমাজের বিত্তবানরা যদি তাদের নিজ সনতানের মত অবহেলিত পথচারী শিশুদেরকে লালন পালনের ভার গ্রহণ করে, তাহলে অন্যের খপ্পরে পড়ে আর পাচার হতে হতোনা অসহায় নারী আর শিশুদের !
নারী ও শিশু পাচার করা নিসন্দেহে একটি গর্হিত ও চরম অন্যায় । এটাকে মন্দ ও অকল্যান বলা যায় নিসন্দেহে , আর এটার বৈশিষ্ট হলো, তা সব সময় হৃদয়– মন ও বিবেকের কাটা হয়ে থাকে। তা অপরাধীকে কখনো মনের সজীবতা ও পুফুললতা নিয়ে জন সমে আসতে দেয়না । ( ১১) ।
নিজেকে সংশোধন করার দায়িত্ব ব্যাক্তির নিজের উপর বর্তাবে। সেটা সম্ভব হয় একমাত্র অনতরে আললার ভয় ও পরকালের জবাবদিহিতার চেতনা সদা সর্বদা অন্তরে জাগ্রত করে। অপরাধ কখনো কারো কোন কল্যান আনতে পারেনা। এ কথাটা মনে রাখতে হবে সদা সর্বদা।
ধর্ম মানুষকে এ কথা বুঝিয়ে যে, মানুষের অধিকার যেমন আছে তেমনি তার কর্তব্য আছে ।তাকে তার কর্তব্য পালন করতে হবে, তখনই সে তার অধিকার চাইতে পারবে । ইসলাম অধিকার চিন্তার চেয়ে দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করছে বেশি । কেননা মানুষের অধিকার হচ্ছে, বাস্তবে অপরের প্রতি দায়িত্ব পালন করা। কেউ তার অধিকার পেতে পারেনা যদি না অন্যেরা তাদের কর্তব্য আদায় করার প্রতি গুরূত্ব দেয়। এ যুগের সকলেই কেবল আমার অনেক অধিকার আছে। কেউ বলতে চায়না , আমার উপর এতসব দায়িব্ত ও কর্তব্য আছে । (১২)
তাই আসুন দায়িত্ব পালন করি এবং সমাজে যারা অসহায় তাদের পাশে দাড়ায় সহযোগিতার হাত নিয়ে। কেননা আদাদেও মনে রাখতে হবে যে “তোমাদের সকলেই দায়িত্বশীল , সকলেই জিজ্ঞাসিত হবে তার স্ব স্ব দায়িত্ব সম্পর্কে। (১৩)
৪. নবী সাঃ সুরাকাহ ইবনে জাসুমকে বলেন, আমি কি তোমাকে বলবো সবচেয়ে বড় সাদাকাহ কি? তিনি বলেন, অবশ্যই হে আললার রসুল সাঃ ! তোমার সেই মেয়েটি যে তালাক পেয়ে অথবা বিধাবা হয়ে তোমার নিকট ফিরে আসে আর তুমি ছাড়া তার আর কোন উপার্জনকারী থাকেনা। (৭) ।
উলেলখিত হাদীসের বানী থেকে আমরা মেয়েদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব সর্ম্পকে যে নির্দেশনা পেয়েছি তা বাস্থবায়নের মাধ্যমে আমরা নারীদেরকে সমাজে সুপ্রতিষ্টিত করতে পারি । আর তাদের প্রতিষ্টিত করা আমাদের নৈতিক ও ধর্মীয় দায়িত্ব। পুরূষ নারীর প্রতি এ দায়িত্ব পালন করার সাথে সাথে নারীর উপর ও কিছু নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে , যা পালনের দায়িত্ব নারীর নিজেরই।
নারী সমাজে সুপ্রতিষ্টিত হওয়ার পর তার উপর যে দায় দায়িত্ব অর্পন করা হয়েছে তা হলো ঃ
(ক) তারা জাহিলিয়াতের ন্যায় নিজেদেরকে প্রকাশ করে বেড়াবে না।
(খ) অন্যের সাথে গোপন সম্পর্কে জড়াবে না।
(গ) বেশ্যাবৃত্তি করবে না।
(ঘ) অশিল প্রচার প্রচারনায় নিজেকে নিয়োজিত করবে না।
(ঙ) দাম্পত্ত জীবনকে অস্বিকার করবে না। (৮)
পুরুষ তার দায়িত্ব পালন করবে শুধুমাত্র একজন নারীকে সমাজের বুকে স্বাধীনভাবে প্রতিষ্টিত করার জন্য , আর নারী তার দায়িত্ব পালন করবে পুরূষকে দায়িত্ব পালনে সহযোগিতা করার জন্য। ধর্মীয় এ নির্দেশনা পালন করতে হবে সেচ্ছায়। জবাবদিহিতার স্বচ্ছ অনুভুতি থাকতে হবে নিজের মাঝে।
পাপ ও নেকীর অনুভুতি সৃষ্টি করতে পারলে এসকল ধর্মীয় নির্দেশ পালন করা মোটেও অসম্ভব নয়। রাসুল সাঃ বলেছেন, “নেকী হচ্ছে উত্তম চরিত্র আর গোনাহ হচ্ছে তাই যা তোমার মনে দ্বিধা ও সংকোচের সৃষ্টি করে এবং মানুষ তা অবহিত হোক তা তুমি পছন্দ করোনা” (৯)।
রাসুল সাঃ যে সমাজ আদর্শ পেশ করেছেন, তাহাতে মানুষের সার্বিক মর্যাদা সমধিক গুরূত্বপূর্ণ । সে মানুষ সদ্যজাত শিশু কিংবা অল্প বয়স্ক বালক অথবা বয়োবৃদ্ধ, উপার্জন অক্ষম যাহাই হোক না কেন । সে সমাজে কোন অবস্থায় মানুষ উপেক্ষিত ও অবহেলিত হইতে পারেনা । মানবতার প্রতি ইহা নির্বিশেষ ও সুগভীর মমত্ব ও শ্রদ্ধাবোধের প্রমান। ( ১০)।
সুতরাং শিশুর জম্মের পর একজন মানুষের উপর বর্তায় তার সনতান পালনের অনেকগুলো দায়দায়িত্ব।
(ক) উত্তম চরিত্রবান বানানো। যেমন, রাসুল সাঃ বলেছেন, পিতা সনতানকে স্বভাব চরিত্রের তুলনায় অধিক উত্তম ভাল কোন দান ই দিতে পারেনা।
(খ) সনতানের শিখা প্রশিকনের দায়িত্ব।
(গ) অর্থনৈতিক দায়িত্ব।
এ ক্ষেত্রে কোন ব্যাক্তি যদি তার সমুদয় অর্থ খোদার রাহে বিলিয়ে দিতে চায়, সেক্ষেত্রে রাসুল সাঃ কঠোরতার সাথে নিসেধ করেছেন। কারণ সনতানকে অর্থনৈতিক ঝুকির মাঝে ফেলে মৃত্য বরন করা যাবেনা। সমাজের বিত্তবানরা যদি তাদের নিজ সনতানের মত অবহেলিত পথচারী শিশুদেরকে লালন পালনের ভার গ্রহণ করে, তাহলে অন্যের খপ্পরে পড়ে আর পাচার হতে হতোনা অসহায় নারী আর শিশুদের !
নারী ও শিশু পাচার করা নিসন্দেহে একটি গর্হিত ও চরম অন্যায় । এটাকে মন্দ ও অকল্যান বলা যায় নিসন্দেহে , আর এটার বৈশিষ্ট হলো, তা সব সময় হৃদয়– মন ও বিবেকের কাটা হয়ে থাকে। তা অপরাধীকে কখনো মনের সজীবতা ও পুফুললতা নিয়ে জন সমে আসতে দেয়না । ( ১১) ।
নিজেকে সংশোধন করার দায়িত্ব ব্যাক্তির নিজের উপর বর্তাবে। সেটা সম্ভব হয় একমাত্র অনতরে আললার ভয় ও পরকালের জবাবদিহিতার চেতনা সদা সর্বদা অন্তরে জাগ্রত করে। অপরাধ কখনো কারো কোন কল্যান আনতে পারেনা। এ কথাটা মনে রাখতে হবে সদা সর্বদা।
ধর্ম মানুষকে এ কথা বুঝিয়ে যে, মানুষের অধিকার যেমন আছে তেমনি তার কর্তব্য আছে ।তাকে তার কর্তব্য পালন করতে হবে, তখনই সে তার অধিকার চাইতে পারবে । ইসলাম অধিকার চিন্তার চেয়ে দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করছে বেশি । কেননা মানুষের অধিকার হচ্ছে, বাস্তবে অপরের প্রতি দায়িত্ব পালন করা। কেউ তার অধিকার পেতে পারেনা যদি না অন্যেরা তাদের কর্তব্য আদায় করার প্রতি গুরূত্ব দেয়। এ যুগের সকলেই কেবল আমার অনেক অধিকার আছে। কেউ বলতে চায়না , আমার উপর এতসব দায়িব্ত ও কর্তব্য আছে । (১২)
তাই আসুন দায়িত্ব পালন করি এবং সমাজে যারা অসহায় তাদের পাশে দাড়ায় সহযোগিতার হাত নিয়ে। কেননা আদাদেও মনে রাখতে হবে যে “তোমাদের সকলেই দায়িত্বশীল , সকলেই জিজ্ঞাসিত হবে তার স্ব স্ব দায়িত্ব সম্পর্কে। (১৩)
তথ্যসুত্র সমুহ
(১) মারেফুল কোরআন ।
(২) মেশকাত পৃ-১০৮।
(৩) মারেফুল কোরআন।
(৪) বুখারী – মুসলিম।
(৫) মুসলিম।
(৬) আবু দাউদ।
(৭) ইবনে মাজাহ ও বুখারী আল আদাবিল মুফরাদ।
(৮) ইসলামে সমাজে নারী – ৩৬৪।
(৯) মেশকাত - কিতাবুল ঈমান।
(১০) শরহে তিরমিজী।
(১১) ইসলামে সমাজে নারী – ৩০৬।
(১২) ইসলামী শরিয়তের বাস্তবায়ন , পৃ- ৫৬/৫৬।
(১৩) বুখারী – মুসলিম।
বেলাল হোসাইন।