রাসূলুল্লাহ (সা)-এর বহুবিবাহ সম্পর্কে প্রচ্যবিদদের মন্তব্য ও জবাব: একটি পর্যালোচনা


প্রাচীনকাল থেকেই মানব সমাজে বহুবিবাহের প্রচলন ছিল। সাধারণ ও বিশেষ মানুষ সকলেই বহুবিবাহ করত। নবীগণের বহুবিবাহকে কেউ খারাপ চোখে দেখত না। তাছাড়া বহুবিবাহ সভাব ও প্রকৃতি সুলভ। আর এটি অনেক সময় প্রয়োজনও হয়ে দাঁড়ায়। হযরত ইবরাহীম (আ)-এর দু’জন স্ত্রী এবং সুলায়মান (আ)-এর এক হাজার জন স্ত্রী ছিলেন। এ সকল নবী য়াহুদী, খ্রীষ্টান মতাবলম্বী ও প্রাচ্যবিদদের কাছে পরম শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন। বিখ্যাত আইনবিদ জ্যোরটিউস বহুবিবাহের বিষয়ে অভিমত ব্যাক্ত করে বলেন, ‘হিব্র“ পূর্ববতী শরী‘আত এবং প্রাচীনকালের নবীগণের শরী‘আত বহুবিবাহের পে ছিল’। তা সত্ত্বেও তারা আমাদের নবী হযরত মুহাম্মাদ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলায়হি ওয়া সাল্লাম -এর প্রতি অভিযোগ উত্থাপন করেছেন যে, তিনি ছিলেন একাধিক বিবাহের প্রতি অত্যন্ত আগ্রহী ও প্রচণ্ড কাম রিপু তাড়িত ব্যক্তি। তিনি যখন ইন্তিকাল করেন তখন তার ছিল নয়জন স্ত্রী। তন্মধ্যে আটজন ছিল বিবাহিতা, বিধবা ও অন্য স্বামীর তালাক প্রাপ্তা। কেউ ছিলেন বৃদ্ধা বয়সের। তন্মধ্যে শুধুমাত্র একজন ছিলেন কুমারী।
ইসলামে বিবাহের একটি সুনির্দিষ্ট ও সুনির্ধারিত নিয়ম বিদ্যমান রয়েছে। কিন্তু বর্তমান সময়ের তুলনায় ইসলামের প্রাথমিক যুগে আরও বেশি স্ত্রী রাখা বৈধ ছিল। সে মর্মে দয়ার সাগর হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলায়হি ওয়া সাল্লাম বিভিন্ন পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে গিয়ে একই সময়ে অনেক স্ত্রী গ্রহণ করেছিলেন। আর তা ছিল সম্পূর্ণ দীন রা ও সমাজ ব্যবস্থায় এক স্মরণীয় আদর্শ স্থাপনের নিমিত্তে। আলোচ্য প্রবন্ধে প্রাচ্যবিদরা রাসূলুল্লাহ্ (সা)-এর বহুবিবাহ সম্পর্কে বিদ্বেষ প্রসূত যে সমস্ত মন্তব্য করেছে তা উল্লেখপূর্বক আল-কুর’আন, হাদীস ও যুক্তির মাধ্যমে যথাযথ খণ্ডণ করা হয়েছে। এরপর কতিপয় পাশ্চাত্য ঐতিহাসিক-এর প থেকেও এ অভিযোগ খণ্ডণের যে সব মতামত বিধৃত হয়েছে সেগুলোও আলোচনা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন এবং ফাইলটা ডাউনলোড করুন।