যৌতুকমুক্ত সমাজ গঠনঃ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা


বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় চরম অভিশাপের দিক হলো যৌতুক প্রথা। এটি মানবসভ্যতার ইতিহাসে একটি লজ্জাকর কলঙ্কের ইতিহাস তাতে কোন সন্দেহ নাই। এ লজ্জাজনক যৌতুক প্রথার নিকট কত অসহায় মানুষকে আত্মবিসর্জন দিতে হয়েছে, কত অসহায় নারীকে মুখ বুজে সহ্য করতে হয়েছে লাঞ্চনা ও গঞ্জনা তার কোন হিসাব নেই। মনুষ্যত্বের এই অবমাননা আর মানব সমাজের এই নির্লজ্জতা ও পঙ্কিলতা বর্তমান সমাজ ব্যবস্থার উন্নয়নকে করেছে বাধাগ্রস্ত। সমাজ সংস্কার ও সমাজ উন্নয়নকে করেছে ব্যাহত। অপরদিকে বৈবাহিক জীবনকে ইসলাম এক মহিমান্বিত আসনে স্থান দিয়েছে। একমাত্র ইসলাম ধর্মই এই সু-শৃঙ্খল পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধনকে মর্যাদা দিয়েছে। অথচ দুঃখজনক হলেও সত্য যে, যৌতুক প্রথার মত বিষাক্ত এক ব্যাধি আমাদের সুশৃঙ্খল পারিবারিক ও সামাজিক জীবনকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। যৌতুকের কারনে একদিকে নারী সমাজ যেমন নানাবিধ নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, তেমনি যৌতুকলোভী পুরুষেরাও তাদের পৌরুষ হারিয়ে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে হীনমন্য মানুষে পরিনত হচ্ছে। এ অবস্থা একটি সুস্থ সমাজের লন হতে পারে না। বলা বাহুল্য যে, নারী নির্যাতনের মূল একটি কারন হচ্ছে যৌতুক। পত্রিকার পাতায় আমরা ল্য করছি যৌতুকের ভয়াবহ সামাজিক পরিনতি। যৌতুকলিপ্সু স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে স্ত্রী আত্মহত্যা করছে, মেয়ের বাবা মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে, নিজের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে যৌতুক পরিশোধ করছে। ইসলাম যেখানে স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে সন্তুষ্ট চিত্তে মোহর পরিশোধ করে ঘরে তোলার কথা বলেছে সেখানে ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ ও নির্বোধ লোকেরা মোহরের বিপরীতে যৌতুক প্রথা চালু করে এই পবিত্র বন্ধনের অস্তিত্ব হুমকির মুখে ফেলেছে।
মূলতঃ যৌতুক বর্তমান সমাজে কন্যা প কর্তৃক বর পকে বিবাহের পূর্বে, বিবাহের সময় ও বিবাহের পর, বর বা বরের অভিভাবক কর্তৃক কনে বা কনের অভিভাবক থেকে বাধ্যতামূলকভাবে প্রদেয় নগদ অর্থ ও মাল-সামানকে যৌতুক বলা হয়। অথবা বিবাহের শর্তে, বিবাহের পূর্বে, বিবাহের সময় ও বিবাহের পরে বর বা বরের অভিভাবক কর্তৃক কনে বা কনের অভিভাবক থেকে বাধ্যতামূলক আদায়কৃত অর্থ, সম্পদ, অলংকার ও আসবাবপত্রসহ যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিই যৌতুক। এটা বর্তমান সমাজের বহুল প্রচলিত যৌতুক।
উল্লেখ্য যে, বর বা তার অভিভাবক কর্তৃক কোনরূপ জোর-জবরদস্তি ও চাপ প্রয়োগ ব্যতীত কনের অভিভাবক স্বেচ্ছায় কিছু দিলে তা গ্রহন করা বৈধ এবং তা যৌতুকের পর্যায়ে পড়বে না। এটা তখন যৌতুক না হয়ে উপহার-উপঢৌকন হবে। কেননা আমাদের প্রিয় নবী (সাঃ) তার আদরের কন্যা মা ফাতিমা (রাঃ) এর বিবাহে উপহার হিসেবে কিছু ঘর সাজানো মাল-সামান দিয়েছিলেন।
ইসলামী শরীয়তে নারী জাতিকে দিয়েছে মহান মর্যাদা ও নিরাপত্তার পূর্ন গ্যারান্টি। যার ফলশ্র“তিতে ইসলামী শরীয়ত বিবাহের বেলায় বর বা তার অভিভাবক অথবা কনের অভিভাবকসহ কাউকেই কোন প্রকার লেন-দেন, বখশিশ বা যৌতুক নামে কোন কু-প্রথার স্বীকৃতি দেয়নি। কেবল স্বামী কর্তৃক স্ত্রীকে মোহর নামে কিছু সম্পদের মালিকানা বানিয়ে দিতে বলা হয়েছে।

মহান আল্লাহ পাক সূরা নিসার ৪র্থ নং আয়াতে ঘোষনা করেন,

وَآتُواْ النَّسَاء صَدُقَاتِهِنَّ نِحْلَةً فَإِن طِبْنَ لَكُمْ عَن شَيْءٍ مِّنْهُ نَفْسًا فَكُلُوهُ هَنِيئًا مَّرِيئًا
অর্থাৎ তোমরা নারীদেরকে তাদের মোহর স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে ও সন্তুষ্টচিত্তে প্রদান করবে।
তাই নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, মহর কোন প্রকার যৌতুক নয় বা পনও নয়। এটা সমাজের মধ্যে নারী জাতির একটা আর্থিক নিরাপত্তা। এর মালিক কেবলমাত্র স্ত্রী নিজেই। কনের অভিভাবক নয়। মোহরের মাধ্যমে ইসলাম নারীকে সামাজিক ও আর্থিকভাবে যথেষ্ট মর্যাদা দান করেছে। কেননা বিবাহের পরে একজন নারী হয়ে পড়ে বড় অসহায়। জন্মলগ্ন থেকে বিবাহপূর্ব পর্যন্ত মা-বাবা, ভাই-বোন, আত্মীয়-স্বজনের মাঝে যে মেয়েটি হেসে-খেলে অত্যন্ত আনন্দের মাঝে দিন কাটাতো; মুহুর্তের মধ্যে তাকে সেই রক্তের বাঁধন ছেড়ে সম্পূর্ন অজানা-অচেনা এক পরিবেশকে আপন করে নিতে হয়। এ েেত্র সে বিভিন্নভাবে নিজেকে অসহায় বোধ করতে পারে। তার মাঝে সৃষ্টি হতে পারে নানাপ্রকার অভাববোধ। নারীদের জন্য অনেক কল্যান নিহিত রয়েছে বলে ইসলাম বিবাহের ক্ষেত্রে মোহর প্রদান ফরয করেছে। তাই এটা কোন ধরনের যৌতুক বা পন নয়। আবার এটা সমাজের পুরুষদের প্রতি চাপানো ও অসঙ্গত কোন বিধান নয়। কেননা ইসলামী শরীয়তে বরের সামর্থ্য অনুযায়ী তার আয়ের সাথে সঙ্গতি রেখে এই মোহর নির্ধারনের কথা বলা হয়েছে।
ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, ইসলামে যৌতুক নামে কোন প্রথা কোন কালে কোন সমাজে ছিল না। হিন্দু সমাজ থেকেই এই যৌতুক প্রথার উৎপত্তি। কেননা হিন্দু সমাজে পিতার সম্পত্তিতে কন্যাদের কোন অধিকার নেই। তাই বিবাহের সময় এককালীন পর্যাপ্ত সম্পদ যৌতুক হিসাবে দিয়ে তাদের বিবাহ দেয়ার রীতি চালু হয়ে যায়। আর দীর্ঘদিন যাবৎ হিন্দু মুসলমান সম্প্রীতির সাথে পাশাপাশি একই সমাজে বসবাসের সুযোগে মুসলিম সমাজেও যৌতুক ব্যাপক আকারে বিস্তার লাভ করে। এভাবে ধীরে ধীরে আমাদের মুসলিম সমাজ উক্ত কু-প্রথার বিষাক্ত ছোবলে আক্রান্ত হয়ে পড়ে।
যৌতুকের কুফলঃ
যৌতুকের ব্যবস্থা নিশ্চিত না হলে আজকাল ছেলেরা মেয়েদেরকে বিয়ে করতে চায় না। এ কারনে মেয়ে প যৌতুকের ব্যবস্থা করতে গিয়ে যথাসময়ে মেয়ের বিয়ে দিতে পারে না। আর বিয়ে বিলম্ব হওয়ার দরুন অহরহ সমাজে নানা বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে। কাজেই প্রচলিত যৌতুক প্রথা সামাজিক শৃঙ্খলা নষ্টের কারন ও সহায়ক হওয়ায় এটা বিয়ের মূল উদ্দেশ্য বিরোধী। বিয়ে দ্বারা শুধু মানব বংশ বৃদ্ধিই নয় সতীত্ব, পবিত্রতা, সামাজিক শৃঙ্খলা রা ইত্যাদি এবং সঠিকভাবে সমাজ উন্নয়নে বিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বিজ্ঞানসম্মত উপায়।
পবিত্র কুরআনুল কারীমের সূরা রূমের ২১নং আয়াতে এরশাদ হয়েছেঃ

وَمِنْ آيَاتِهِ أَنْ خَلَقَ لَكُم مِّنْ أَنفُسِكُمْ أَزْوَاجًا لِّتَسْكُنُوا إِلَيْهَا وَجَعَلَ بَيْنَكُم مَّوَدَّةً وَرَحْمَةً

অর্থাৎ “আল্লাহর নিদর্শনাবলীর মধ্যে এটাও রয়েছে যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য হতে সৃষ্টি করেছেন তোমাদের সঙ্গীনি যেন তোমরা তার কাছে মানসিক প্রশান্তি পাও এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালবাসা ও আন্তরিকতা সৃষ্টি করে দিয়েছেন।
এই আয়াতে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, বিবাহের দ্বারা স্বামী-স্ত্রী পরষ্পরে মনের প্রশান্তি লাভ করবে। স্বামী-স্ত্রীর মনের গভীর পরিতৃপ্তি, প্রশান্তি ও স্থিতি লাভ করবে আর এটাই হচ্ছে বিবাহের মূল উদ্দেশ্য। আর এই বিবাহ যদি আর্থিক লাভ-লোকসানের বস্তুতে পরিনত হয়, তখন এই ধরনের বিবাহ দ্বারা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রেম-ভালবাসা, মায়া-মমতা, দরদ-সহানুভূতি সৃষ্টি হয় না। স্বামীর মধ্যে সর্বদা অপরাধবোধ কাজ করে। স্ত্রীর কাছে সে সর্বদা হেয় প্রতিপন্ন হয়ে থাকে। এ প্রসঙ্গে একজন ইংরেজ লেখকের কথা উল্লেখ করা যায়-

When marrigae is formed with the money, it’s nothing but a legal prostitution for which government is giving openly license for the sake of a tax.


অর্থাৎ বিবাহ যখন টাকা পয়সার মাধ্যমে সম্পন্ন হয় তখন এটা বিবাহ হয় না এটা হয় একটি পতিতাবৃত্তি যে পতিতাদের জন্য সরকার একটি কর নির্ধারন করে দিয়েছে। বর্তমান সমাজে এই ঘৃন্য ও জঘন্যতম যৌতুকের প্রভাব এমন যে এর দ্বারা মূল বিয়েটাই যেন দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে এবং সমাজে নৈতিক অধঃপতন বৃদ্ধি পেয়েছে। যৌতুক এমন একটি বিষয় যা নারীত্বের অবমাননা। কাজেই এই যৌতুকের অভিশাপ থেকে সমাজকে মুক্ত ও সংশোধন করে বিবাহ বন্ধনকে আরো সহজ করা সামাজিক প্রয়োজন ও দ্বীনি দায়িত্ব। রাসূল (সাঃ) বলেছেন- কম খরচের বিয়েই হচ্ছে বরকতের দিক থেকে শ্রেষ্ঠ। ইসলাম সম্মত বিয়েতে বরপ থেকে যৌতুকের শর্ত ও দাবী থাকে না। বস্তুতঃ বিয়েতে দেনমোহর ছাড়া অন্য কোন শর্ত করা ইসলামী শরীয়তে বৈধ নয়। কাজেই ইসলামের দৃষ্টিকোন থেকে যৌতুকদান ও গ্রহন সম্পূর্নরূপে অমানবিক একটি ঘৃনিত কাজ হিসেবে বিবেচিত।
যৌতুকমুক্ত সমাজ গঠনে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলাঃ
যৌতুকমুক্ত সমাজ গঠনে বাংলাদেশ সরকারের রয়েছে নানা পদপে। যৌতুকবিরোধী আইন করে সমাজকে যৌতুকমুক্ত রাখতে সরকার সচেষ্ট রয়েছে। যৌতুকলিপ্সু স্বামীদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা। তথাপি সমাজ যৌতুকমুক্ত হচ্ছে না। প্রকৃতপে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার বিকল্প নেই। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা ও এর চর্চার মাধ্যমেই সমাজ থেকে যৌতুক প্রথা বিলোপ করা সম্ভব। যৌতুক প্রথা মূলত জোর-জবরদস্তি, চাপ প্রয়োগ ও বেকায়দায় ফেলে বর প কর্তৃক কনে পরে কাছ থেকে মাল-সম্পদ কুগিত করা। এটা নিঃসন্দেহে যুলুম। এক প্রকার ছিনতাই, আত্মসাৎ ও অন্যায় ভন। নিঃসন্দেহে যা হারাম। সূরা বাকারার ১৮৮ নং আয়াতে রাব্বুল আলামীন এরশাদ করেনঃ-

অর্থাৎ তোমরা অন্যায়ভাবে একে অপরের সম্পদ ভন করো না।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সূরা নিসার ২৯নং আয়াতে এরশাদ করেন-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ لاَ تَأْكُلُواْ أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ إِلاَّ أَن تَكُونَ تِجَارَةً عَن تَرَاضٍ مِّنكُمْ وَلاَ تَقْتُلُواْ أَنفُسَكُمْ إِنَّ اللّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا
হে ঈমানদারগন! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরষ্পর সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। (সূরা নিসা-২৯)
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এরশাদ করেছেন, “সন্তুষ্টচিত্ত ব্যতিরেকে কারো জন্য অন্য লোকের মাল সম্পদ হালাল হতে পারে না। অতএব, যুলুম ও বেকায়দায় ফেলে স্ত্রীর প্রতি মানসিক নির্যাতন করে যৌতুক আকারে নেয়া মাল সম্পদ অকাট্যভাবে হারাম উপার্জন। আর এই হারাম উপার্জন খেয়ে ইবাদত করলে তা কবুল হবে না। আর ইবাদত কবুল না হলে তার পরিনতি জাহান্নাম। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি মহর ধার্য করে কোন মেয়েকে এই নিয়তে বিয়ে করে যে, উক্ত মহর পরিশোধ করবেনা সে ব্যক্তি ব্যভিচারী।” একথা দ্বারা বুঝা যায় যে, ইসলামে যৌতুকের কোন স্থান নেই। রাষ্ট্রীয়ভাবে যৌতুকবিরোধী আইনের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক যৌতুক বিরোধী প্রচার প্রচারনার পরেও যখন সমাজ যৌতুকমুক্ত করা যায়নি তখন উপরিউক্ত কুরআন হাদীসের কঠোর নির্দেশাবলী সমাজের তৃনমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে। এই হারাম বিষয়টির পার্থিব ও পারলৌকিক ভয়াবহ পরিনাম জনগনের কাছে তুলে ধরতে হবে। পবিত্র বিয়ের েেত্র মহর প্রথা বাস্তবায়ন ও নিষিদ্ধ যৌতুক প্রথার েেত্র ধর্মীয় বিধি নিষেধ যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে সমাজ থেকে যৌতুক প্রথা উৎখাত করা সম্ভব। এ ব্যাপারে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, আলেম সমাজের রয়েছে গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব। যৌতুকের মত অমানবিক অন্যায় ও ঘৃনিত কাজের কুফল সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করতে হবে।
এদেশের অধিকাংশ মহিলা যৌতুকের আইন সম্পর্কে জানেনা। যৌতুকবিরোধী আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিকভাবে এর বিরূদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। যৌতুকের অভিশাপ থেকে নারী সমাজকে রার জন্য ব্যাপকভাবে ইসলামের নীতিমালার প্রচার, প্রসার, সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা এবং নারী শিার প্রসারের মাধ্যমে এ ঘৃনিত সমস্যার সমাধান হতে পারে। তাছাড়া পাঠ্যপুস্তক, বেতার, টেলিভিশনসহ প্রচার মাধ্যমে যৌতুক বিরোধী ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা নিতে হবে।
আল্লাহ আমাদেরকে ইসলামী অনুশাসন তথা বিয়েতে মহর এর পরিপূর্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঘৃনিত ও নিষিদ্ধ যৌতুক প্রথামুক্ত একটি প্রশান্তিময় পরিবার, সমাজ তথা দেশ গড়ার তৌফিক দিন।
আমীন।
এ.বি.এম. মুফাজ্জল হুসাইন
(এম.এম. ও এম.এ)
জোনাল হেড-ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ, খুলনা জোন।